الأربعاء، 13 أكتوبر 2021

ফেসবুকের নিষিদ্ধ তালিকায় বাংলাদেশের যারা

 


বিশ্বজুড়ে চার হাজার ব্যক্তি ও সংগঠনের একটি গো’পন কালোতালিকা বানিয়েছে ফেসবুক। এসব ব্যক্তি ও সংস্থাকে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচনা করছে সামাজিক মাধ্যমটি।

ফেসবুকের বিপজ্জনক ব্যক্তি ও সংগঠন (ডিআইও) নীতি অনুসারে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে দ্য ইন্টারসেপ্ট এমন খবর দিয়েছে।

তালিকায় জ’ঙ্গিগোষ্ঠী, ঘৃ’ণাবাদী গ্রুপ, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, লেখক ও রাজনীতিবিদরা রয়েছেন। এতে বাংলাদেশি ছয় সংগঠন ও ব্যক্তিও আছেন। তারা হলো—আল-মুরসালাত মিডিয়া, ইস’লামিক স্টেট বাংলাদেশ, হারাকাত উল-জিহাদ ই ইস’লামি বাংলাদেশ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), সাহাম আল-হিন্দ মিডিয়া।

কালোতালিকায় তরিকুল ইস’লাম নামের এক ব্যক্তিও রয়েছেন। তিনি অবশ্য জেএমবির সঙ্গে জ’ড়িত বলে জানা গেছে।

দ্য ইন্টারসেপ্ট বলছে, কালোতালিকার ৫৩ দশমিক সাত শতাংশ নাম সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া ২৩ দশমিক তিন শতাংশ যু’ক্ত সশস্ত্র সামাজিক আ’ন্দোলনের সঙ্গে। ১৭ শতাংশ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ায়, ৪ দশমিক ৯ শতাংশ অ’প’রাধমূলক কর্মকা’ণ্ডের জন্য এবং এক শতাংশ নাম ভায়োলেন্ট নন-স্টেট অ্যাক্টরস।

সামাজিকমাধ্যমটির তালিকায় নামগুলো তিন স্তরে ভাগ করা হয়েছে। স’ন্ত্রাসী সংগঠন, যারা বিদ্বেষ ছড়ায় এবং অ’প’রাধের সঙ্গে যু’ক্ত থাকলে সর্বোচ্চ পর্যায়। অর্থাৎ তাদের নাম স্তর-১ হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।

আর সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে সশস্ত্র সামাজিক আ’ন্দোলনের সঙ্গে যু’ক্ত নামগুলো। দ্য ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে এদের বেশির ভাগই মা’র্কিন সরকারবিরোধী ডানপন্থী মিলিশিয়া, যাদের প্রায় সবাই শ্বেতাঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফেসবুক সন্ত্রাসবাদী প্রপাগাণ্ডা ছড়াতে, সহিং’স ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে মুক্তভাবে প্রচার চালাতে সহায়তা করে—এমন অ’ভিযোগ থেকে বাঁচতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে অনলাইন মাধ্যমে স’ন্ত্রাসী সংগ্রহ নিয়ে যু’ক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও জাতিসংঘের হুঁশিয়ারির পর নতুন কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্স নির্ধারণ করে মা’র্ক জুকারবার্গের এই প্রতিষ্ঠান।

এতে যেসব সংগঠনের স’ন্ত্রাসী ও সহিং’স অ’প’রাধ তৎপরতার ইতিহাস আছে, সেগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরে তা বিপজ্জনক ব্যক্তি ও সংগঠন (ডিআইও) নীতিতে পরিণত হয়। এই বিধিনিষেধ অনুসারে সাবেক মা’র্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা’ম্পকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফেসবুকে।

এর আগে এই তালিকা প্রকাশে অনীহার কথা জানিয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিকমাধ্যমটি। যু’ক্তি ছিল, এতে তাদের কর্মীরা বিপদে পড়তে পারেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, সাধারণ মানুষকে এই তালিকা দেখাতে হবে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: