সর্বশেষ

মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪

রাতে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের আভাস

রাতে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের আভাস


 

 

 

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে ভাসছে সিলেট-সুনামগঞ্জ। এর মাঝেই বড় দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদের ভাষ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর (১৯ জুন) উত্তরপূর্বাঞ্চলে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ মঙ্গলবার (১৮ জুন) বন্যা পূর্বাভাস আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ আবহাওয়াবিদ আরও জানান, বুধবার দুপুর ২টার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন করে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার উপরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে তা অপেক্ষা কয়েকগুণ বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে মেঘালয় পর্বতের ওপরে।

তার মতে, আজ রাতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার জন্য। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করার জন্য দ্রুত প্রস্তুতি নিয়ে রাখা পরামর্শও দেন তিনি।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম নামক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে পূর্বাভাস দিয়েছেন জানিয়ে এ গবেষক আরও বলেন, বিকেলের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে গেলেও রাত ১২টার পর থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। রাত ৩টার পর থেকে আবারও সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার মেঘালয় পর্বত এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে।  ভোর ৬টার পর থেকে আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুবই ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে সুনামগঞ্জ জেলার কোনো কোনো স্থানে নদীর পানি সাময়িকভাবে কমা শুরু করলেও মধ্যরাতের পর থেকে আবারও তা বাড়তে পারে। এর প্রভাবে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে জানান গবেষক পলাশ।

জলবায়ু বিষয়ক এ গবেষক আরও জানান, স্বাভাবিকভাবে সিলেটে জুনের দিকে ৮৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে ২০২৪ সালে জুনের ১৭ দিনেই ১৫৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে ৮৪ শতাংশ বেশি।    

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং, রাতারগুল, বিছানাকান্দি ও পান্থুমাইসহ সব পর্যটনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, আগামী সাত দিন অতিভারি বর্ষণ হতে পারে সিলেট ও এর আশপাশের এলাকায়। এছাড়া উজানে বিশেষ করে মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলে অর্থাৎ ব্রহ্মপুত্র, সুরমা, কুশিয়ারা বেসিনে বৃষ্টি বাড়ছে। তিস্তা বাঁধ এলাকায়ও বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা থাকতে পারে আরও এক সপ্তাহ। এ কারণে সিলেটবাসীর জন্য আপাতত কোনো সুখবর নেই। বরং ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে তাদের।

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

 


তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

 

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

 

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!

তালতলায় এখনো হাটু পানি! ভরপুর সুরমা! আজও অনেকেই কোরবানি করতে পারেন নি!       

সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

সিলেটে আরেকটি নির্ঘুম রাত, তলিয়ে গেছে নগরের শতাধিক এলাকা

সিলেটে আরেকটি নির্ঘুম রাত, তলিয়ে গেছে নগরের শতাধিক এলাকা

 



আরেকটি নির্ঘুম রাত কেটেছে সিলেট নগরবাসীর। রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরের বেশিরভাগ এলাকা। সোমবার ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকা এ বৃষ্টির নগরের শতাধিক এলাকার বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। ডুবে গেছে কয়েকটি প্রধান সড়ক। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দেন নগরবাসী। তবু শেষ রক্ষা হয়নি।

এর আগে গত বুধবার এক রাতের ঢলে তলিয়ে গিয়েছিলো সিলেটের পাঁচ উপজেলা। এবার এই ভয়াবহতার সাক্ষী হলো নগরবাসী। অথচ গত দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছিলো। ফলে পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার আসায় বুক বেঁধেছিলো সিলেটবাসী। রোববার রাতের বৃষ্টিতে সে আশার গুড়েবালি।

রোববার বিকেলেই একপশলা বৃষ্টি হয় সিলেটে। তবে রাত ১২ টা থেকে শুরু হয় ভারি বৃষ্টি। যা অব্যাহত থাকে সোমবার সকাল পর্যন্ত।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো সজিব জানান, রোববার সকাল ৬ টা থেকে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২২৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর সকাল ৬ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২৮ মিলিমিটার।

আগে থেকেই নগরের কয়েকটি এলাকায় বন্যার পানি ছিলো। পানিতে টইটুম্বুর ছিলো সুরমা নদীও। বৃষ্টিতে রোববার মধ্যরাত থেকেই নদী উপচে নগরের নতুন নতুন এলাকা ডুবতে শুরু করে। বাসাবাড়িতে ঢুকে যায় পানি।

নগরের উপশহর এলাকার সড়কে আগে থেকেই পানি ছিলো। রোববার রাতে এই এলাকার প্রায় সব বাসার নিচ তলায় পানি ঢুকে যায়।

উপশহরের ডি ব্লকের বাসিন্দা শাহাজান আহমদ সোমবার সকালে বলেন, ঘরের ভেতরে হাঁটু পানি, সড়কে কোমর সমান পানি। না ঘরে থাকতে পারছি, না বাইরে বের হতে পারছি। বছর বছর এই দুর্ভোগ আর ভালো লাগছে না।

এই এলাকার একটি বাসার চারতলায় থাকেন সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ। তিনি বলেন, ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি একটা দ্বীপে! চারদিকে শুধু পানি আর পানি। তার মধ্যে মনে হচ্ছে ভাসছি।

সোমবার সকালে সিলেট নগর ঘুরে দেখা গেছে, নগরের উপশহর, তেরররন, যতরপুর, মেন্দিবাগ, জামতলা, তালতলা, শেখঘাট, কলাপাড়া মজুমদার পাড়া লালদীঘির পাড়, সোবহানী ঘাট, মির্জাজাঙ্গাল, কদমতলী, কালিঘাট, শেখঘাটসহ অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন বলেন, আতংক উৎকণ্ঠায় আরেকটি নির্ঘুম রাত কাটলো রোববার। রাত একটায় একবার ঘরে পানি ঢুকে। ঘরের সবাই মিলে চারপাশে বাঁধ পানি সেচে বের করি। ভোর ৪ টার দিকে আবার ঘরে পানি ঢুকে পড়ে। ঘরের সব আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে। সকালেও পানি বাড়ছে।

নগরের জামতলা এলাকার বাসিন্দা, সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত বলেন, রোববার রাতে ঘরে আবারো পানি ঢুকেছে। এর আগে ২০২২ সালের বন্যার সময়ও পানি ঢুকেছিল। অথচ তখন বন্যা মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হলে বারবার এই দুর্ভোগ পোহাতে হত না।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, আগে থেকে নগরের নয়টি ওয়ার্ডের কিছু এলাকা প্লাবিত ছিলো। রোববার রাতের বৃষ্টিতে নগরের প্রায় সবগুলো ওয়ার্ডই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ঢলে আগে থেকেই সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে। তাই বৃষ্টির পানি নদী দিয়ে নামতে পারেনি।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোমবার সকালে সিলেট সিটি করপোরেশনে জরুরী বৈঠক চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিচতলায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কলেজের শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের রোগীরা। তবে সেবা অব্যাহত আছে জানিয়ে এই হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হাসপাতালের জেনারেটর রুমে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সেবা ব্যাহত হতে পারে।

পানি বাড়ায় সিলেট নগরের বেশিরভাগ স্কুল কলেজের সোমবারের ক্লাস ও পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া নগরের বেশিরভাগ এলাকায় রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

জমি নিয়ে বিরোধে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, নারীসহ গ্রেপ্তার ৬

জমি নিয়ে বিরোধে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, নারীসহ গ্রেপ্তার ৬


 

 

সিলেটের ওসমানীনগরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের হাতে আনোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছে। এসময় হামলায় নারীসহ আরো ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।

 শনিবার সকাল ৮টার দিকে উছমানপুর ইউনিয়নের বেতখাই গ্রামে অতর্কিত হামলার ঘটনাটি ঘটে। নিহত আনোয়ার হোসেন বেতখাই গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই নুরুল হোসেন বাদি হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ সহ ১৪জনকে আসামী করে শনিবার সন্ধ্যায় ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা (মামলা নং-০৪) দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মামলার এজাহার নামী ৬ আসামীকে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি বেতখাই গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে শাহিন মিয়া(৩০), একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে  সিরাজুল ইসলাম বাদশা (৫০), আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল কাদির(৫০), সিরাজুল ইসলাম বাদশার স্ত্রী সুলতানা বেগম(৩৩), আব্দুল গণি স্ত্রী  আফিয়া বেগম(৪০) ও আব্দুল কাদিরের স্ত্রী সুফিয়া বেগম(৪৫)।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে জিলু মিয়া ও আনোয়ার হোসেনগংদের সাথে একই বাড়ির চাচাতো ভাই গণি মিয়া, বাদশা মিয়া, কাদির মিয়া ও শাহিন মিয়া গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত শুক্রবার জিলু মিয়া তার মেয়ের কবর জিয়ারত করে প্রতিপক্ষের ঘরের সামন দিয়ে আসার সময় তাকে মারপিট করা হয়।

বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মিমাংসা করে দেয়ার জন্য রবিবার দিন তারিখ ধার্য করেন। কিন্তু মিমাংসার পূর্বেই গতকাল শনিবার সকা ৮টায় জিলু মিয়া গংরা ঘুমে থাকাবস্থায় গণি মিয়া, বাদশা মিয়া , কাদির মিয়া, শাহিন মিয়া ও সুমন মিয়া গংরা রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জিলু মিয়া ও আনোয়ার হোসেন গংদের ঘরে হামলা চালায়। এসময় অনেকেই ঘুমে ছিলেন। হামলাকারীরা তাদের ঘর-দরজা ভাঙচুর করে নারী পুরুষকে টেনে বাইরে বের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।

তাদের হামলায় জিলু মিয়া, তার স্ত্রী হেনা বেগম, ছেলে রাসেল মিয়া, জাকির মিয়ার ছেলে মাহিদ ও নুরুল, ঝুনু মিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম, শফিক মিয়ার মেয়ে হাছনা বেগম ও নাজমা বেগম আহত হয়। হামলাকারীরা আহত রাসেলের পায়ুপথ দিয়ে লোহার রডও ঢুকিয়ে দেয়। হামলার সময় আনোয়ার হোসেন গরু চড়াতে বাড়ির নিকটবর্তী মাঠে ছিলেন। প্রতিপক্ষ সেখানে গিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন মারা যান।

এছাড়া আহত রাসেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

 নিহত আনোয়ার হোসেনের চাচাতো বোন তাহমিনা বেগম বলেন, সুমন মিয়া, বাদশা মিয়া, গণি মিয়া, শাহিন মিয়া ও কাদির মিয়া গংরা রামদাসহ অস্ত্র নিয়ে সকাল ৮টায় আমাদের ঘরে হামলা চালায়। ঘর দোয়ার ভাঙচুর করে আমার পিতা জিলু মিয়া, ভাই রাসেল মিয়াসহ মহিলাদের ঘর থেকে টেনে বের করে কুপাতে শুরু করে। এসময় আমার চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন বাড়ির পাশের মাঠে গরু নিয়ে গিয়েছিলেন। হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উছমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ালী উল্যাহ বদরুল বলেন, তাদের দুই পক্ষের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। শুক্রবার ঘরের সামন দিয়ে যাওয়া নিয়ে জিলু মিয়ার ওপর হামলার ঘটনাটি মিমাংসার জন্য রবিবার ইউনিয়ন পরিষদে বিচারের দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু শনিবার সকালেই গণি মিয়া, কাদির মিয়া ও বাদশা মিয়া গংরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আনোয়ার হোসেনকে হত্যাসহ অনেক নারীপুরুষকে আহত করে। হামলাকারীরা রাসেল নামক যুবকের পায়ুপথ দিয়ে লোহার রড ডুকিয়ে দেয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক হত্যাকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত এজাহার নামীয় ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা রয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 


 

বানিয়াচংয়ের বড়য়ান বিলে পলো উৎসব

বানিয়াচংয়ের বড়য়ান বিলে পলো উৎসব


 

 

 হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসব। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের বড়য়ান বিলে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সহস্রাধিক মৎস্য শিকারি পলো উৎসবে অংশ নেন। বাদ যায়নি শিশুরা। একসঙ্গে সহস্রাধিক মানুষের মাছ শিকারের দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহিবুল হোসেন উজ্জ্বল জানান, আতুকুড়া গ্রামের বড়য়ান বিলে যুগ যুগ ধরে পলো উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। একসময় জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, আজমিরীগঞ্জ, লাখাই ও বানিয়াচং উপজেলায় এ প্রতিযোগিতার প্রচলন ছিল। তখন বিভিন্ন নদী, বিলে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো। শুধু মাছ ধরা নয়, এর মাঝে ছিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের মিশ্রণ। মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম এটি। বর্তমানে এটি হারিয়ে গেলেও আতুকুড়া গ্রামবাসী এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পলো উৎসবের তারিখ নিধারণ করা হয়। আগেই থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৎস্য শিকারিরা জাল, পলো ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে বিলের পাড়ে ভিড় করেন। সকালে বিলে মাছ শিকারে নামেন তারা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলে মাছ শিকার।

বানিয়াচংয়ের বাসিন্দা নাসিম আহমেদ বলেন, ‌‘শখের বশে প্রতিবছর পলো উৎসবে অংশ নিই। এবার অংশ নিয়ে ছোট-বড় চারটি মাছ পেয়েছি। আমার মতো অনেকেই মাছ পেয়েছেন। তবে আগের তুলনায় এখন বিলে সেরকম মাছ নেই। পলো উৎসবের আগেই বিলের ইজারাদার মাছগুলো জাল ফেলে মেরে ফেলেন।’

আয়োজক কমিটির সভাপতি সোহেল মিয়া বলেন, আমাদের সংগঠনের পোশাক পরে প্রায় ২০০ জন সদস্য পলো উৎসবে অংশ নিয়েছেন। তাদের কেউ মাছ পেয়েছেন, আবার কেউ পাননি। তবে এখানে শুধু মাছ পাওয়া না পাওয়ার বিষয় নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য। আমাদের বিনোদনেরও মাধ্যম।

শেয়ার করুন
সিলেটে ক ঠো র আ ন্দো ল নে র পথে হাঁটছেন সিএনজি পাম্পের মালিকরা!

সিলেটে ক ঠো র আ ন্দো ল নে র পথে হাঁটছেন সিএনজি পাম্পের মালিকরা!


 সিলেটে সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনগুলোতে ‘পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ না থাকায়’ যানবাহনে জ্বালানি সংকট নিরসনের দাবিতে গ্যাসের লোড বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি।

 

 

 

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর কুমার পাড়াস্থ মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারের হল রোমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 


সভা বক্তারা বলেন, দেশের বৃহৎ গ্যাস সিলেট থেকে আহরণ করা হলেও সিলেটবাসীকে সেই গ্যাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনগুলোতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ না থাকায় জরুরী রোগী পরিবহন সেবা এ্যাম্বুলেন্সসহ যাবতীয় যানবাহনে জ্বালানি সংকট চরম আকারে পৌঁছেছে।২০০৭ সালের বেঁধে দেয়া লোড দিয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলছে। এই দীর্ঘ ১৭ বছরে দেশে  ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, সড়ক প্রস্থ হয়েছে, সড়কে যানবাহন কয়েকগুণ বেড়েছে কিন্তু গ্যাস স্টেশনের লোড বাড়ানো হয়নি। বিষয়টি সিলেট জালালাবাদ গ্যাস অফিসকে বারবার জানানোর পরও তারা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছেন না। আমাদের আন্দোলন করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।  ফিলিং স্টেশনে চাহিদা মত গ্যাস সরবরাহ করা না হলে সিলেট বিভাগের সকল সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন বন্ধ রাখা হবে, পরিবহন শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করবে ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করাসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
 

সভায় সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজুওয়ান আহমদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন পেট্রোল পাম্প এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেটের বিভাগীয় সহসভাপতি কামাল উদ্দিন, সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেটের বিভাগীয় অর্থ সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

 

 

রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩

মাধবপুরে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

মাধবপুরে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

 



হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভুল চিকিৎসায় রাকিবা আক্তার নামে ১ বছরের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। যদিও ভুল চিকিৎসার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই চিকিৎসক।

গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে পৌরসভার শ্যামলী পাড়াস্থ অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার ইকবালের চেম্বারে ঘটনাটি ঘটে। রাকিবা আক্তার উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামের মাসুম মিয়ার কন্যা।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার হঠাৎ করে ঠাণ্ডা জ্বরসহ অসুস্থতার কারণে শিশু রাকিবাকে নিয়ে যাওয়া হয় মাধবপুর পৌরসভাস্থ শ্যামলী পাড়ার ডাক্তার ইকবাল-এর কাছে। এ সময় তিনি ঔষধ লিখে দেন। পরে ডাক্তারের দেয়া লেখা ঔষধ তাকে খাওয়ানো হয়। এক পর্যায়ে কিছুক্ষণ পরই বাচ্চাটির অবস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। ফের ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যেই মারা যায় শিশুটি।

পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি।

মাধবপুর থানার (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।