শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের গাড়ির অপরিকল্পিত পার্কিংয়ের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের সুযোগে মহাসড়কে প্রায়ই ঘটে ছিনতাই। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ ও মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন। হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে চল্লিশের বেশি কারখানা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের
অভিযোগ, এসব কারখানার কর্মী ও মালামাল পরিবহনের গাড়িগুলোর অপরিকল্পিত পার্কিংয়ের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। তাঁদের দাবি, দ্রæত এই সমস্যা নিরসন করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শুধু প্রাণ-আরএফএল গ্রæপেরই প্রায় ১৫ হাজার কর্মী রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে তাদের কর্মীরা কারখানায় বের হন ও প্রবেশ করেন। তাঁদের পরিবহনের জন্যই যত গাড়ি মহাসড়কে পার্কিং করে, দীর্ঘ যানজটের জন্য তাই যথেষ্ট। প্রতিদিন ভোর থেকে নয়টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কে যাতায়াতকারী পণ্যবাহী, যাত্রীবাহী গাড়িগুলো যানজটের মধ্যে পড়ে যায়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই যানজটের কারণে মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এ সময় ছিনতাইকারীরা যাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম পণ্যসামগ্রী ছিনতাই করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলে, শুধু কর্মীদের পরিবহনের গাড়িই নয়, প্রতিদিন শতাধিক মাল বহনকারী লরি এই এলাকায় প্রবেশ করে। এসব লরি থেকে মালামাল আনলোড করা বা মোড় ঘুরতে গেলেও যানজট তৈরি হয়। কখনো কখনো ঢাকা-সিলেট রেললাইনের ওপরেও গাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
যানজটের ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রাণ গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (জিএম) হাসান মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘আমরা এই ব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিশেষ করে নিজেদের উদ্যোগে কীভাবে সড়কটি যানজট মুক্ত রাখা যায়, সে জন্য বেশ কিছু লোককে ট্রাফিক ট্রেনিং করাচ্ছি, যেন তাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় গাড়িগুলো যেন সুনির্দিষ্ট স্থানে রাখা যায়, সে ব্যাপারেও চিন্তা করছি। তা ছাড়া কর্মীদের কীভাবে গ্রæপ করে বের করা যায়, তা নিয়েও ভাবছি।’
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (জিএম) যানজটের ব্যাপারে চিঠি দিয়েছি। মনে হচ্ছে বিষয়টি তাঁরা কানে তুলছেন না।’
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কারখানা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রæত যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
0 coment rios: