শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১

সন্তান জন্মের পরেই প্রেমিকের সঙ্গে লাপাত্তা গৃহবধূ


 

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে সদ্যজাত সন্তানকে ফেলে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন এক গৃহবধূ । সন্তান জন্ম দেওয়ার পরদিন ওই গৃহবধূ ইব্রাহিম নামের এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।

গত বুধবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) পরিবার থানায় যোগাযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযুক


যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে সদ্যজাত সন্তানকে ফেলে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন এক গৃহবধূ । সন্তান জন্ম দেওয়ার পরদিন ওই গৃহবধূ ইব্রাহিম নামের এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।

গত বুধবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) পরিবার থানায় যোগাযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযুক্ত গৃহবধূ যশোর শহরের শাহিনুর হোসেনের স্ত্রী।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত ১২টা ৫১ মিনিটে ওই নারী তার প্রেমিক ইব্রাহিমকে নিয়ে সন্তান জন্ম দিতে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর ১টায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন। কিন্তু একদিনের মাথায় শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে ওই নারী নিখোঁজ হন।

ভর্তি তথ্যে শিশুটির বাবার নাম শাহিনুর লেখা হলেও প্রেমিক ইব্রাহিমকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দেন ওই নারী। একইসঙ্গে তাদের বাসা শহরের স্টেডিয়ামপাড়া উল্লেখ করা রয়েছে। জরুরি যোগাযোগের জন্য দেওয়া ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

শিশুটি দুদিন হাসপাতালের সেবিকাদের তত্ত্বাবধানে ছিল। তবে পরিবারের সম্মানহানির ভয়ে বিষয়টি প্রথমে থানায় জানানো হয়নি। এ সময় ওই নারীকে তার আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় খোঁজ করা হচ্ছিল। একপর্যায়ে তাকে না পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটির নানা-নানির সন্ধান পাওয়া যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ শিশুটিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।

নবজাতকের নানা শাহ আলম সাংবাদিকদের এমনটি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ৩ মার্চ ওই নারীর সঙ্গে ও শাহিনুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে স্বামী শাহিনুরের সঙ্গে ঢাকায় থাকত। কিছুদিন আগে সন্তান প্রসব করতে মাগুরায় তার বাবার বাড়ি আসেন। এরই মধ্যে তার সঙ্গে ভোলা জেলা সদরের খয়েরতলা এলাকার ইব্রাহিম নামের এক যুবকের পরিচয় হয়। ইব্রাহিম ফুঁসলিয়ে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর ইব্রাহিম তাকে নিয়ে পালিয়েছেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহম্মেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শিশুটিকে পুলিশের মধ্যস্থতায় তার নানা শাহ আলম, নানি আসমা খাতুন এবং বাবা শাহিনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি ভালো রয়েছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: