রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১

থানায় দীর্ঘদিন আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ওসি প্রদীপ’

 


আ’লোচিত ও চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হ’ত্যা মা’মলার পূর্বে নির্ধারিত পঞ্চ’ম দফায় প্রথম দিনে আরও ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার সকাল সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতের বিচারক মো. ইসমাঈলের আ’দালতে ২০তম সাক্ষী বেবি বেগমের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে আ’দালতের কার্যক্রম।

এ সময় বেবি বেগম আ’দালতকে বলেন, ওসি প্রদীপ ও তার বাহিনী ২০২০ সালে আমা’র কি’শোরী কন্যাকে অ’স্ত্র ঠেকিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন থা’নার দ্বিতীয়তলায় আ’ট’কে রেখে আমা’র মে’য়েকে ধ’র্ষণ করে ওসি প্রদীপ। ওই সময় ছাড়া পেয়ে মে’য়ে বাড়ি ফিরে আসলে কয়েকবার আত্মহ’ত্যার চেষ্টা চালায়।

প্রশাসন ওসি প্রদীপের পক্ষে থাকায় মা’মলা করার সাহস পাননি দাবি করে বেবি বেগম বলেন, মেজর সিনহা হ’ত্যা মা’মলার পর তিনি সাহস পেয়ে ওসি প্রদীপের বি’রুদ্ধে আ’দালতে ধ’র্ষণ মা’মলা করেছেন।

রোববার বেবি বেগম ছাড়াও সে’না কর্মক’র্তা লে. আরেফিন, করপোরাল নুর আহম’দ, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সৈয়দ মঈন ও রুহুল আমিন এবং লেন্স করপোরাল আবু জাফর আ’দালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে তাদের আ’সামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।

সে’না সদস্যরা সবাই মেজর সিনহা হ’ত্যার রাতে সে’না সদস্যদের সঙ্গে ওসি প্রদীপের দুর্ব্যবহার ও মেজর সিনহা হ’ত্যাকে পরিক’ল্পিতভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার বিষয়টি আ’দালতে তুলে ধরেন।

মেজর সিনহা হ’ত্যা মা’মলা বিচারকাজে যু’ক্ত একাধিক আইনজীবী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার জে’লা কারাগার থেকে মা’মলার ১৫ আ’সামিকে প্রিজনভ্যানে কড়া পু’লিশ পাহারায় আ’দালতে আনা হয়।

কক্সবাজার জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, মা’মলায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৯ জনকে আ’দালত নোটিশ দিয়েছেন। গত ২৩ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ২৫ জনের জবানব’ন্দি নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রোববার পঞ্চ’ম দফায় প্রথম দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৯ জন সাক্ষী আ’দালতে উপস্থিত থাকলেও ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পেরেছেন আ’দালত।

৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লা’শি চৌকিতে মেজর সিনহা নি’হত হন। এ ঘটনায় পু’লিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মা’মলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আ’দালতে প্রদীপ কুমা’র দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পু’লিশ সদস্যের বি’রুদ্ধে হ’ত্যা মা’মলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: