মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

৩০ সেপ্টেম্বর খুলছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল

 



করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) আবাসিক হল ৩০ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি ১ নভেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে হল খোলার আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

 

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।

সিন্ডিকেট কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব জানিয়েছেন, স্নাতক চতুর্থ বর্ষ, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা ২ ডোজ টিকা গ্রহণের পর আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে হলে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা ১ ডোজ টিকা প্রাপ্ত হলেই ২১ অক্টোবর থেকে হলে প্রবেশ করতে পারবেন। হলে উঠার আগে অবশ্যই টিকা গ্রহণের সনদ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে।

তিনি আরও জানান, ১ নভেম্বর থেকে সিকৃবি ক্যাম্পাসে সশরীরে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এ সময়ের মধ্যে চলমান অনলাইন পরীক্ষাগুলো যথারীতি চালু থাকবে ও নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষাগুলো শেষ হবে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট এই সিদ্ধান্তগুলোর অনুমোদন দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহামারীর সময়ও সিকৃবির অনলাইন ক্লাস ও প্রশাসনিক কাজও অব্যাহত ছিলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মকর্তারা প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রেখেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীরা এখনও টিকা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ তাদের দ্রুত টিকা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বেলা তিনটায় ভার্চ্যুয়ালি সিন্ডিকেট সভার কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় সিন্ডিকেট সদস্য ও সিলেট-৬ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুস শহীদ, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডল, প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড অ্যাকুয়াটিক এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসানুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরিন, বাংলাদেশ প্রাণী গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ আণবিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি, অ্যানিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন এম রাশেদ হাসনাত, কৃষি অনুষদের ডিন মো. আসাদ-উদ-দৌলা, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম অংশ নেন।

 

 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: