বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সিলেটে রায়হান হত্যা : আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ

 


সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত বহুল আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল মোমেন অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগপত্র গ্রহণের সময় মূল অভিযুক্ত পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ সব আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ৫ মে আলোচিত এই মামলায় ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

অভিযুক্তরা হলেন, প্রধান অভিযুক্ত বন্দর বাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। তঁদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন এসআই মো. আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও এএসআই আশেক এলাহী।

আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

অভিযোগ ওঠে, গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান উদ্দিন আহমদকে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যেরা। পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে নানা কর্মসূচি।

রায়হান হত্যার পরদিন ১২ অক্টোবর তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

শেয়ার করুন

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: