পূর্ব নির্ধারিত তারিখে সিলেট আ’দালতে হাজিরা না দেওয়ায় জমির আলী নামের (৬৫) এক বিএনপি নেতাকে গ্রে’প্তার করেছে বিশ্বনাথ থা’না পু’লিশ। তিনি উপজে’লার পালের চক গ্রামের মৃ’ত হাজী ইশরাদ আলীর ছে’লে ও রামপাশা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা।
বুধবার (৬ অক্টোবর) বিশ্বনাথ থা’না পু’লিশের এসআই হোসাইন আহম্ম’দ তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রে’প্তার করেন।
এরআগে সিলেটের সিআইডি’র এসআই রোকেয়া খানম চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলী আ’দালতে জমির আলীর বি’রুদ্ধে নন-জিআর মা’মলা নং ৪৫/২০২১ দায়ের করেন। ওই মা’মলায় বুধবার (৬ অক্টোবর) মা’মলার শুনানির দিন ধার্য্য থাকলেও আ’দালতে হাজিরা না দেওয়ায় তার বি’রুদ্ধে গ্রে’প্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এসআই হোসাইন আহম্ম’দ জানান, নন-জিআর ৪৫/২০২১ নং মা’মলায় গ্রে’প্তারি পরোয়ানা থাকায় জমির আলীকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আ’দালতের মাধ্যমে তাকে জে’লহাজতে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, পৈর্তৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৯ সালের ১ জুলাই জমির আলী তার আপন চাচাত ভাই যু’ক্তরাজ্য প্রবাসী দাদুভাই ছইল মিয়া (৪৬) ও মনছুর মিয়ার (৪২) বি’রুদ্ধে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলি আ’দালতে মা’মলা দায়ের করেন, (জিআর মা’মলা নং ১৩৯/১৯)। ওই মা’মলা’টি সিলেটের সিআইডি কর্মক’র্তা আব্দুর রাজ্জাক ত’দন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মিথ্যা বলে আ’দালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর জমির আলী প্রতিবেদনের বি’রুদ্ধে আ’দালতে নারাজি দেন। পরবর্তীতে সিলেটের সিআইডির এসআই রোকেয়া খানম ওই মা’মলা’টি পুনরায় ত’দন্ত করেন। দীর্ঘ ত’দন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৫ মা’র্চ বাদী জমির আলীকে পেনাল কোডের ২১১ ধারায় অ’ভিযু’ক্ত করে প্রসিকিউশন প্রদানের জন্য আ’দালতের অনুমতি প্রার্থনা করেন। ওইদিন সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলী আ’দালতের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁঞা জমির আলীর বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিআইডি কর্মক’র্তাকে আদেশ দেন।
আদেশের প্রেক্ষিতে সিআইডি কর্মক’র্তা রোকেয়া খানম চলতি বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর জমির আলীর বি’রুদ্ধে ওই আ’দালতে নন-জিআর মা’মলা দায়ের করেন (নন-জিআর মা’মলা নং ৪৫/২০২১)। বুধবার মা’মলার শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আ’দালতে হাজিরা না দেওয়ায় জমির আলীর বি’রুদ্ধে গ্রে’প্তারি পরোয়ানা জারি হলে পু’লিশ তাকে গ্রে’প্তার করে।
এ ব্যাপারে সিলেটের সিআইডি’র এসআই রোকেয়া খানম জানান, আ’দালতের নির্দেশে জমির আলীর বি’রুদ্ধে নন-জিআর মা’মলা দায়ের করেছেন। তবে মা’মলার পরবর্তীতে কী’ হয়েছে তা তিনি জানেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন