বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এর দিকনির্দেশনায় বালাগঞ্জের
কামরুল হাসান (১৭) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী সুরত আলী
(৩৮) ও শামছুজ্জামান (২৬)কে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে ঢাকার কাফরুল
থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ
পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম ও এসআই(নি:)মোঃ জাহেদুল ইসলাম সঙ্গীয়
একটি ফোর্স তাঁদের বালাগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন।
এ খবরটি নিশ্চিত করে বালাগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ফোর্স ও পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃ রফিকুল ইসলাম ও এসআই(নি:)মোঃ জাহেদুল ইসলামের দূরদর্শিতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে নিরীহ কামরুল হত্যার বিচার যেনো পায় সেই লক্ষ্যে এগিয়ে মামলার ১জন আসামী ছাড়া সবাইকে আটক করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ওই আসামীকে ধরার জন্য আমাদের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০জুলাই স্থানীয় একজনের বাড়ির সামনে গ্রামের লতিফ উল্লাহর ছেলে সুরত আলী (২৮) ও নিহতের খালা জায়েদা বেগম তাঁদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সুরত আলী জায়েদা বেগমকে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করলে নিহত কামরুল হাসান প্রতিবাদ করেন।
তারপর নিহতের বড় ভাই এমরান মিয়া সহ আশপাশ লোকজন মিমাংশার চেষ্টা করেন। সংঘর্ষের পর পরই কামরুল হাসান নিখোঁজ হয়। খুঁজাখুঁজির ২ঘন্টা পর পানিতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। নিহত কামরুল হাসান উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়নের হামছাপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে।
পরে গত ১লা আগস্ট পাঁচ জন এবং অজ্ঞাত আসামী দুইজন করে বালাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-০১/৫৯। এনিয়ে এমামলায় অজ্ঞাত এক আসামী ছাড়া সকল আসামীকে আটক করেছে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন