আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জ্বালানি বিভাগ। কিন্তু জ্বালানি সংকটের কারণে শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়। বর্তমানে দরপত্রের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে কেনা হচ্ছে তিন কার্গো এলএনজি।
এর মধ্যে এক কার্গো চলতি মাসেই আনা হবে বলে জানিয়েছিলেন জ্বালানি বিভাগ-সংশ্লিষ্টরা। এখন পর্যন্ত এ ক্রয় চুক্তির মূল্য প্রকাশিত হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুরভিত্তিক ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ২৯ ডলার ৮৯ সেন্ট মূল্যে এক কার্গো এলএনজি এরই মধ্যে কিনেছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে এলএনজির বাজারে ঊর্ধ্বমুখিতা লাগামহীন হয়ে উঠছে। জানুয়ারিতে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ছিল প্রায় ১৪ ডলারে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটসের তথ্য অনুযায়ী, এরপর পণ্যটির দাম কমে মার্চের শুরুতে নেমে আসে প্রতি এমএমবিটিইউ সাড়ে ৫ ডলারের কিছু বেশিতে। স্পট মার্কেট থেকে বাংলাদেশের ক্রয়মূল্য বিবেচনায় নিয়ে দেখা যাচ্ছে, গত ছয় মাসে পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রায় ৪৩৭ শতাংশ। খবর বণিক বার্তা
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত এত বেশি দামে এলএনজি কেনার রেকর্ড নেই। এছাড়া অক্টোবরে সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের কাছে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩৫ ডলার করে চেয়েছিল আরো একটি প্রতিষ্ঠান। দাম বেশি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ। অক্টোবরের মধ্যে আরো দুই কার্গো সরবরাহের জন্য শিগগিরই দরপত্র জারি করা হবে বলে রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে গ্যাস সংকট সামাল দিতে উচ্চমূল্য থাকা সত্ত্বেও এলএনজি কেনা হচ্ছে। এর আগে স্পট মার্কেট থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৯-২০ ডলারের মধ্যে কেনা হবে বলে জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন