মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এখনো স্থবিরতা কাটেনি সিলেটের মণিপুরি আড়তে


 

করোনার কারণে অধিকাংশ দোকান থেকেই কর্মীদের ছাটাই করা হয়েছে। এখন ব্যবসা না থাকায় চাইলেও তাঁদের ফেরাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।



পর্যটন নগরী সিলেটে সারা বছর ভ্রমণপিপাসু মানুষের আনাগোনায় সরব থাকে। আর এসব পর্যটকদের আকৃষ্ট করে লামাবাজারস্থ মণিপুরি দোকানগুলোতে সিলেট অঞ্চলে বসবাসরত মণিপুরি মানুষের তৈরি বিভিন্ন পোশাক, শাড়ি এমনকি দেশিয় ঐতিহ্যের নানান কারুকাজের গহনাগুলো আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। বাঙালির আদি ঐতিহ্যের তাঁত শিল্প দিয়ে হাতে তৈরি এসব পোশাকের কদর এখনো কম নয়। তাইতো শুক্রবার হলে সিলেটের সকল বিপণিবিতান কিংবা শপিং মল যখন বন্ধ থাকে তখন সরব থাকে এসব দোকান। কিন্তু এবার যেন স্থবিরতা কাটছেই না।

সকল কিছু সময়ে সময়ে স্বাভাবিক হয়ে উঠলেও মণিপুরি আড়ত হিসেবে পরিচিত এসব দোকানে এখনো চলছে নীরবতা। শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে নগরীর লামাবাজারস্থ মণিপুরি কাপড়ের দোকানগুলোতে দেখা যায় ক্রেতাদের তেমন আনাগোনা নেই। ব্যবসায়ীরা অনেকেই অলস সময় পার করছেন। আবার কোন কোন দোকানে কিছু ক্রেতা থাকলেও বিকিকিনি খুব একটি নেই।
এসময় কথা হয় সুরাইয়া তাসনিম নামের এক ক্রেতার সাথে।

তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা এসেছি মাজার জিয়ারতে। সেই সাথে জাফলংটা ঘুরে দেখার ইচ্ছাও আছে। আমার স্বামী জুমার নামাজ পড়েছেন শাহজালাল মাজার মসজিদে। এরপর আসলাম কেনাকাটা করতে। সিলেটের মণিপুরি কাপড়ের ঐতিহ্য বেশ পুরনো। তাছাড়া একটা জায়গায় আসলে স্বাভাবিকভাবেই কিছু কেনাকাটা করার ইচ্ছা থাকে। তাই এখানে আসা।’

তবে সারা সপ্তাহে শুক্রবারটাই তাঁদের ব্যবসার জন্য মুখ্য দিন হলেও এখন আর তেমন ব্যবসা হচ্ছে না বলে জানালেন জননী মণিপুরি শাড়ি ঘরের পপি। তিনি বলেন, আমাদের মূল টার্গেট থাকে এ দিন সিলেটের বাইরে থেকে যেসব পর্যটক আসেন তাদেরকে। তাই আমরা শুক্রবারের বদলে সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে দোকান বন্ধ রাখি মঙ্গলবার। কিন্তু করোনার প্রভাব এখনো যাচ্ছে না। কারণ সারা বছরে অন্য ব্যবসায়ীদের যেরকম ব্যবসা হয় এসব দোকানে সেরকম হয় না। সপ্তাহে এক দিন আর বছরে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এ তিন মাস পর্যটক বেশি আসেন তখনই ভালো ব্যবসা হয় বলে জানান তিনি।

অপরদিকে সিলেট মণিপুরি নামক দোকানের সেলস ম্যান লিপি আক্তার বলেন, এখানে অধিকাংশ নারীরা দোকান চালান। প্রায় ২৫ টির মতো হবে মণিপুরি কাপড়ের দোকান। তবে করোনার কারণে অধিকাংশ দোকান থেকেই কর্মীদের ছাটাই করা হয়েছে। এখন ব্যবসা না থাকায় চাইলেও তাঁদের ফেরাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।





শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: